ফারুক ই আজমের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিশ্বব্যাংক ও ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল। উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যা ও দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেছে দুই প্রতিনিধিদল। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন প্রোগ্রাম লিডার সাইদ আমের আহমেদ, সিনিয়র অপারেশন অফিসার সুহেল কাসিম ও সিনিয়র দুর্যোগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মিস স্বর্ণা কাজী। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা ও যুগ্মসচিবও উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাতে তিনি সাম্প্রতিক বন্যা ও দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি এবং বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য নেওয়া বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলকে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি, ত্রাণ কার্যক্রম ও তা সমন্বয় বিষয়ে অবহিত করা হয়। তিনি জানান, প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংক নিয়ম মেনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত। সহায়তার পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এসময় সভায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অধিক টেকসই কিন্তু অস্থায়ী অধিক সহনশীল শেল্টার নিয়ে আলোচনা হয়। তাছাড়া এ বাস্তুচ্যুতদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, জটিল স্বাস্থ্য ঝুঁকি, নিরাপত্তা ঝুঁকি ইত্যাদি বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায়। ভাসানচরে তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন তারা। ভাসানচরে যাতায়াত ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও জরুরি স্থানান্তর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। একই সঙ্গে বাস্তুচ্যুতদের জন্য কক্সবাজার ও ভাসানচরে নেওয়া বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প বিষয়েও উভয়পক্ষের মধ্যে মত বিনিময় হয়। এদিকে যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাই কমিশনার জেমস গোল্ডম্যান ও তার প্রতিনিধিদল চার্লি গ্রিন ও গাভিন টেঞ্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তিনি সাম্প্রতিক বন্যা, দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি ও বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানসহ অতিরিক্ত সচিবরা ও যুগ্মসচিব উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনারকে সাম্প্রতিক বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম ও তা সমন্বয় বিষয়ে অবহিত করা হয়। এছাড়া, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। সভায় বাস্তুচ্যুতদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি, নিরাপত্তা ঝুঁকি ইত্যাদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। ডেপুটি হাই কমিশনার মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে সেদেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।