ফিলিস্তিন-সিরিয়ায় বড়দিনের উৎসব বাতিল
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আগামীকাল খ্রিষ্টানদের প্রধান আনন্দোৎসব ক্রিসমাস ডে (বড়দিন)। কিন্তু উৎসবের আমেজ নেই যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে (ফিলিস্তিন নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম তীরের শহর, জেরুজালেমের দক্ষিণে ৬.২ মাইল দূরে অবস্থিত)। গাজায় নির্বিচারে গণহত্যায় শোকের ছায়া পড়েছে স্থানীয় খ্রিষ্টানদের মাঝে। এর জের ধরেই ফিলিস্তিনের পাশাপাশি বড়দিনের উৎসব বাতিল করেছে সিরিয়ার খ্রিষ্টানরাও।
রোববার আলেপ্পোর সিরিয়াক ক্যাথলিক আর্চবিশপ মোর ডিওনিসিয়াস আন্তোইন শাহদা এএফপিকে বলেছেন, ‘যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিনে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
গাজায় বোমা হামলার শিকারদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমাদের গির্জাগুলোতে সমস্ত আনুষ্ঠানিক উদযাপন এবং অভ্যর্থনা বাতিল করে দিয়েছি।’ এর আগে বেথলেহেমেও উৎসব বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার রাতে ফিলিস্তিনি পর্যটনমন্ত্রী রুলা মায়াহ এবং বেথলেহেমের মেয়র হানা হানিয়াহ জানিয়েছেন, সমগ্র বিশ্ব বড় দিনের উৎসব উদ্যাপন করছে, কিন্তু বেথলেহেম নয়। আলজাজিরা।
সিরিয়াক ক্যাথলিক চার্চ একা এ সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিরিয়ার তিনটি প্রধান চার্চের নেতাদের সঙ্গে গ্রিক অর্থোডক্স, সিরিয়াক অর্থোডক্স এবং মেলকাইট গ্রিক ক্যাথলিক প্যাট্রিয়ার্ক ঘোষণা দিয়েছেন, তারা বড়দিনের উৎসব বাতিল করেছেন। তবে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠান সীমিতভাবে উদ্যাপন করার কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানগুলোকে প্রার্থনার মধ্যে সীমাবদ্ধ করছেন। সিরিয়ার উত্তরের শহর আজিজিয়া প্রতিবছর জমজমাট উৎসব হয়। এটি বিশাল ক্রিসমাস ট্রির অন্যতম স্থান। এদিনে এর রাস্তাগুলো আলোয় সজ্জিত থাকে। অথচ আজ মূল চত্বরটি প্রায় খালি। সেখানে বড়দিনের কোনো সাজসজ্জা দেখা যাচ্ছে না। বড়দিনের উল্লাস নির্জন হয়ে গেছে। বোরবার বেথেলহেমের যাজক মুনথার আইজ্যাক গাজায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।