ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সিপাহীপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
অনলাইন নিউজ ডেক্স
মুন্সিগঞ্জে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ২৩৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে শক্তিশালী ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন স্থাপনা। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা জানান, অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ সময় সড়কের দুই পাশের প্রায় দুই একর জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়ায় ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সোমবার প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। গতকাল সকাল থেকেই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থায়ীভাবে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু শেখ। তিনি বলেন, ‘অতীতেও একাধিকবার এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর আবার একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এবারের অভিযান শেষে যাতে কোনোভাবেই ফুটপাত আবারো বেদখল না হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোরালোভাবে সে দাবি জানাচ্ছি।’ পুনরায় দখল ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যানজট নিরসন করতে চান তারা। একই সঙ্গে ফুটপাতে চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা জানান, জেলা পরিষদসহ সড়ক ও জনপথের সরকারি জায়গা দখল করে ২৩৩টি অবৈধ স্থাপনা ও দোকান গড়ে তোলা হয়েছিল। আইন মেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত এগুলো উচ্ছেদ করেছেন। এর মাধ্যমে দুই একরের বেশি সরকারি জায়গা দখলমুক্ত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভবিষ্যতে পুনরায় দখল ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলার যেখানেই অবৈধ স্থাপনা থাকবে সেগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।