বান্দরবানে কেএনএফের সাথে প্রশাসনের সাথে ২য় দফা সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত


বান্দরবানে কেএনএফের সাথে প্রশাসনের মধ্যে সরাসরি ২য় দফা আলোচনায় ৭ টি বিষয় নিয়ে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কেএনএফের মামলা প্রত্যাহার, জেলে আটক বন্দিদের মুক্তি দেয়া, মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পূনর্বাসন করা চাঁদাবাজি বন্ধ , কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসে চাকুরি দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে জানা যায়। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনার কারনে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ এর নাম উঠে এসেছে বারবার। এদিকে পাহাড়ে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় প্রশাসনের সাথে সরাসরি শান্তি আলোচনা হয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রুমার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সাড়ে তিন ঘন্টাব্যাপী রুদ্ধদার এ বৈঠকে অংশ নেয় কেএনএফ এর উচ্চ পর্যায়ের ৮ সদস্য ও শান্তি কমিটির ১৩ সদস্য। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষে গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথমবারের মত বৈঠকে বসে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এতে অস্ত্র বিরতি, চাঁদাবাজি বন্ধসহ ৪ টি বিষয়ে সমঝোতা হয় উভয়ের মধ্যে। কিন্তু এরপরও একের পর এক অপহরন চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সশস্ত্র সংগঠনটি।তাদের কর্মকাণ্ডের কারনে শান্তির পাহাড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে। তাই পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ ও অস্থিতিশীল পরিবেশকে শান্ত করতে ৪ মাস পর আবারো শান্তি আলোচনায় বসেছে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এতে নতুন করে উভয় পক্ষের মাঝে ৩ টি বিষয়ে একমত হয়। এ পর্যন্ত ৭ টি বিষয়ে একমত হয় উভয় পক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে কেএনএফ এর সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্বস্থি প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। এদিকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে আলোচনা সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে বলে জানায় কেএনএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক লাল সাং লম,সাধারণ সম্পাদক, লাল জং ময় সহ সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। এদিকে কেএনএফ এর দাবী বাস্তবায়নে সদস্যরা অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আগ্রহী বলে জানান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। প্রসঙ্গত পাহাড়ে কেএনএফ এর অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ই জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।