বিএনপির ডা. শাহাদাতকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা


তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে প্রার্থী হওয়া ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। নির্বাচন বাতিল চেয়ে এই প্রার্থীর করা মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট ঘোষণার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এই রায় প্রদান করেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই রায় অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে দায়ের করা মামলায় আদালত ডা. শাহাদাতের পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং তাঁকে মেয়র ঘোষণা করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিবাদি করা হয় চসিকের সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনারের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মাদ ওয়াহেদ মুরাদ, মো. জান্নাতুল ইসলামকে। তাদের পক্ষে আদালতে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চসিক কর্মকর্তারা রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচনের নামে ওইদিন শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে এখনও পাওয়া যায়নি। কোনও কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়, ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পর চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল।