বিএনপির নতুন আন্দোলন কোন ঈদের পর: কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যর্থ বিএনপি। এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা কুকি চিন নিয়ে ইস্যু খুঁজছে। রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, কুকি চিন নিয়ে সরকার সতর্ক ও শক্ত অবস্থান নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন, সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে, আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন তো উন্মুক্ত ছিল। নির্বাচনে গেলে বিএনপির ভরাডুবি হবে বলেই তারা নির্বাচনে যায়নি। খালেদা জিয়ার জন্য মির্জা ফখরুল ৫০০ নেতাকর্মী জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ হয়েছে, মুক্তির আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে। আইনি লড়াইয়ে কালক্ষেপণ করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খারাপের জন্য বিএনপি কম দায়ী নয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন করে আন্দোলন কবে কোন বছর, কোন ঈদের পর, কোন পরীক্ষার পর? গত ১৫ বছর আন্দোলনের হাঁকডাক বারবার শুনেছি। বিএনপির আন্দোলন করার শক্তি সামর্থ্য সবই তারা হারিয়েছে। বিএনপি আন্দোলন করতে চাইলে নেতাকর্মী পাবে না। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ। তারেক রহমানের ওপর হতাশ। রিমোট কন্ট্রোলের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেবে না। এ সময় তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা বাসনা অনেকের থাকতে পারে। এমপি কিংবা মন্ত্রীরা এতে প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচনে কেউ যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। নির্বাচন শুরু হলে বোঝা যাবে কে আসলে প্রার্থী। নির্বাচনের দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে খেসারত দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, নিকট অতীতে রোজার মাসে আওয়ামী লীগের এত তৎপরতা থাকেনি। অন্তঃকলহ, মতভেদ দূর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বিএনপির কথা সত্যি হলে নির্বাচনের ৫ দিন পর সরকার পতন হতো, দুর্ভিক্ষে-অনটনে দেশ শেষ হতো। শীত নিদ্রায় যাওয়া ছাড়া বিএনপির এখন আর কোনো কাজ নেই। কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দুঃসাহস বিএনপি-জামায়াত দেখাবে মনে করি না। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের আছে।