বিতর্কে হেরে ‘কোণঠাসা’ বাইডেনকে পরিবারের সমর্থন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রথম বিতর্কে হেরে কঠিন সময়ের মুখোমুখি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খোদ নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক শিবির থেকেই দাবি উঠেছে, বাইডেনকে সরিয়ে দেওয়ার। এমন সময়ে পরিবারের সমর্থন পাচ্ছেন বাইডেন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান উপেক্ষা করছে তার পরিবার।
আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রথম বিতর্কে মোটেও ভালো করতে পারেননি জো বাইডেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিতে পারেননি তিনি। বাইডেনের বর্তমান বয়স ছাড়িয়েছে ৮১। আগামী নির্বাচনের আগে তার শারীরিক সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জল্পনা শুরু হয়েছে, দেশকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দিতে পারবেন কিনা বাইডেন। একদিকে বিতর্কে হার, অন্যদিকে বয়সের চাপ। প্রতিপক্ষ শিবির তো বটেই, নিজ দল থেকেই কঠিন সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন।
তাহলে কি হোয়াইট হাউজের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট? প্রথম বিতর্কে ফল পক্ষে আসলেও বয়সের কাছে হার মানতে রাজি নয় বাইডেন। আর এখানে সবচেয়ে সমর্থন পাচ্ছেন বাইডেন তার পরিবারের কাছ থেকে।
রোববার প্রকাশিত সিবিএস জরিফের ফল বলছে, ৭২ ভাগ ডেমোক্র্যাটিক ভোটার বিশ্বাস করেন যে, রাষ্ট্রপতি হিসাবে কাজ করার মতো মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য নেই বাইডেনের। আর প্রায় অর্ধেক ভোটারের মতে, বাইডেনকে সরে যেতে হবে।
এতো সব সমালোচনার ভিড়েও হাল ছাড়ছে না বাইডেনের নির্বাচনি প্রচার দল। তার পরিবারের আশা, ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য ডেমোক্র্যাটদের সেরা প্রতিযোগী বাইডেনই।
মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে পারিবারিক সমাবেশে অংশ নেন বাইডেন। সেখানে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার অ্যানি লিবোভিটজ বাইডেন পরিবারের ফটোশুটে অংশ নেনে। যেখানে বাইডেনের স্ত্রী জিল, তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্প ডেভিড থেকে জিল বাইডেন ভোগ ম্যাগাজিনকে জানান, ‘রাষ্ট্রপতি হতে সেই ৯০ মিনিটের বিতর্কের ফল কিছু যাই আসে না।’
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।