বিরোধপূর্ণ এজমালি সম্পত্তির মাটি কেটে সরকারি জমি  দখলের অভিযোগ।


মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে বিরোধপূর্ণ এজমালি  সম্পত্তির মাটি কেটে সরকারি নয়ন জলি দখলের অভিযোগ উঠেছে কাশেম দেওয়ানের ছেলে সাইফুল দেওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরসাইল গ্রামে। এ বিষয়ে সিরাজদিখান  থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।গত কাল বুধবার (৩১মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তালতলা বয়রাগাদি সড়কের ছবিছন্দা সিনেমা হলের বিপরীত পার্শে একটি জায়গা  ভরাটের উদ্দেশ্যে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে পকেট করে রাখা হয়েছে। জায়গাটিতে এস্কে বেটার মেশিন নামাতে গিয়ে সড়কের গাইড ওয়াল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশে থাকা গাছের ডাল সহ গাছ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জায়গাটি এমনভাবে ভরাটের উদ্দেশ্যে বাদ দেওয়া হয়েছে তাতে সরকারি নয়ন জলীয় তাদের বাঁধের মধ্যে পড়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, সিরাজদিখান থানাধীন ফুরসাইল মৌজার আরএস-২৭৯ নং দাগের ৪০ শতাংশ জমি কাসেম দেওয়ান (৭০), মোঃ জাকির দেওয়ান (৫৫), ফয়সাল দেওয়ান (৪২) দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক ভোগ দখল করার পায়তারা করিয়া আসছিলো। সেই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬শে মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জমিটি ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটে। সেখানে জমির মালিক নাহিদ দেওয়ান বাধা দিতে গেলে  অভিযুক্তরা তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে নাহিদ দেওয়ান সিরাজদিখান থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযুক্ত সাইফুল দেওয়ান বলে, আমাদের নিজেদের জমিই আমরা ভরাটের জন্য পকেট করেছি। এসিল্যান্ড অফিসে আমাদেরকে ডেকেছিল আমরা সেখানে যাওয়ার পর নয়ন জলিতে যতটুকু মাটি পড়েছে তার সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছে। আমরা সরিয়ে নিব। রাস্তার পাশের গাছ কেটে নেওয়া ও গাইড ওয়াল ভাঙ্গার বিষয় জানতে চাইলে বলেন রাস্তার পাশে সবগুলো গাছ আমার নিজের লাগানো একটি চারা গাছ হেলে পড়েছিল ওটি সরিয়ে ফেলেছি আর গাইড ওয়াল তো ঠিকই আছে।মালখানগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন বলেন, নয়নজলি ভরাটের বিষয়ে জানতে পেরে পরিদর্শন করে এসিল্যান্ড স্যারের বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি। সিরাজিদিখান থানার পুলিশ উপ- পরিদর্শক ফয়জুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডেকেছিলাম তারা আসেনি। জানতেপেরেছি বিষয়টি আদালতে মামলা চলমান রয়েছে আদালতের বিষয়ে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই। সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উম্মে হাবিবা ফারজানা, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।