বেনাপোলে চেকপোস্টে প্রতারণার অভিযোগে ঘরে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ


বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারনায় অভিযুক্ত ৮ টি সাইনবোর্ড বিহীন অবৈধ দোকানে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ।এছাড়া আরো ৪টি দোকান মালিককে সতর্ক বার্তা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের চেকপোষ্টে অবস্থিত এসব দোকানে তালা ঝুলানো হয়। এসময় সেখানে বাজার কমিটি,রাজনৈতিক নেতা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত ছিনতাইকারীরা হলেন, চৌধুরী সুপার মার্কেটের রবি,সাইদুর সুপার মার্কেটের বাবুল,রেজাউল সুপার মার্কেটের হামিদ,ইউনুস সুপার মার্কেটে বরিশালের শামীম,রবি,সয়েব,ইবাদত, হৃদয়,শিমুল, ইমরান ও মারুফ। এর আগে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারনা ও ভ্রমন ট্রাক্স জালিয়াতির ঘটনায় চেকপোষ্ট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে বন্দরের সাদিপুর সড়কে বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্টের শামিম এবং চৌধুরী ও মসজিদ মার্কেটের সাইবোর্ড বিহীন ৯ টা দোকান তালা মারে পুলিশ । তবে তারা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আবারও প্রতারনায় জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসা ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে বেনাপোল বন্দর হয়ে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে ভারতে। এসব যাত্রীরা যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাসপোর্ট যোগে বন্দরে নামে, তখন এক শ্রেনীর ছিনতাইকারী বিভিন্ন পরিচয়ে পাসপোর্টের ফরম বা ভ্রমন ট্রাক্স কেটে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় বিভিন্ন মার্কেটে সাইন বোর্ড বিহীন ঘরে বসায়। পরে বিভিন্ন প্রতারনার মাধ্যমে কখনো ভয় ভিতী দেখিয়ে সাথে থাকা অর্থ ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া একটি মহল ছিল বন্দর ও কাস্টমসের ছিল জাল তৈরী করে ভ্রমন তবে সেখানে বিভিন্ন সংস্থ্যার নিরাপত্তা বাহিনী থাকলেও প্রতিরোধে তেমন কোন ভুমিকা রাখতো না। সবশেষে গত সোমবার বন্দরের প্যাছেঞ্জার টার্মিনাল থেকে ৮ পাসপোর্টধারীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারকরা। অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত ৮ টি অবৈধ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত জানান, প্রতিদিন নানান কৌশলে পাসপোর্টধারীদের জিম্মী করে ছিনতাই করে আসছিল প্রতারক চক্ররা। এধরনের প্রতারকদের ৮ টি অবৈধ প্রতিষ্ঠানে তারা মারা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১০ টি প্রতিষ্ঠানে তালা মারা হয়েছিল বলে জানান ওসি।