বোমা হামলার হুমকি, দিল্লির ১০০ স্কুলে তুলকালাম!


সাতসকালে দিল্লিতে হইচই। প্রায় ১০০টি স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পাওয়ার পর শহরজুড়ে তুলকালাম। বুধবার সকালে ই-মেইলের মাধ্যমে স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষকে এই হুমকি দেওয়া হয়। এতে দিল্লিজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, এমন হুমকি পাওয়ার পর পরই সব স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। সবাই নিরাপদ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে হুমকি পাঠানো হয়েছে, সেটি রাশিয়ার বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক কর্মকর্তা। ভিপিএন ব্যবহার করে রাশিয়া থেকে মেইল পাঠানো হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে খবর পাওয়া যায়, বুধবার সকালে ৮ থেকে ১২টি স্কুলে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি আসে মেইলে। এরপর আরও একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ একই হুমকির কথা প্রশাসন ও দিল্লি পুলিশকে জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, দ্বারকার স্কুল, চাণক্য়পুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুলে মেইল আসে। খবর পাওয়া মাত্রই বোম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড সঙ্গে নিয়ে নয়ডার দিল্লি পাবলিক স্কুলে পৌঁছায় পুলিশের একটি দল। সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয় স্কুল ক্যাম্পাস। পুরো স্কুলে তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিস্ফোরক বস্তুর সন্ধান পায়নি তারা। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেছেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছি। অভিভাবকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ আমরা এখনো কোনো বিস্ফোরক বস্তু পাইনি। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রোহিত মীনা বলেছেন, বুধবার ভোর থেকে মেইল আসা শুরু হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে একই পদ্ধতিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিক থেকে আমরা এই বিষয়ে খবর পেতে শুরু করি। তদন্ত শুরু হয়েছে, তল্লাশি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহজনক বস্তু বা বিস্ফোরকের সন্ধান মেলেনি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এদিকে এরই মধ্যে দিল্লির একাধিক স্কুল পরিদর্শন করছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশকে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি কারা এই হুমকি পাঠিয়েছে, তাদেরও খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।