ভোট এলেই কয় ব্রিজ কইরা দিমু ভোটের পর কেউ খবর লয় না।


ভোট এলেই কয় নদীর ওপর ব্রিজ কইরা দিমু ভোট গেলে গা কেউ আর খবরও লয় না, ব্রিজ হইবতো দূরের কথা। আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চরবলাকী গ্রামের বৃদ্ধ নুরু আলম (৭০)। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫২ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। নদীর ওপর সেতু না হওয়ায় সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করতে  হয় ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে। ৭০ বছর বয়সী নুরু আলম ছাড়াও ওই এলাকার অনেকেরই এমন অভিযোগ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চরবলাকী ও শহীদ নগর দুই গ্রামের সংযোগের মাঝে মেঘনার শাখা নদীর ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে ওই এলাকার মানুষ। বর্তমানে সাঁকোটির খুঁটিগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। একসঙ্গে কয়েকজন চলাচল করলে তা দুলতে থাকে। কয়েক দশক ধরে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করে ওই সাকোঁটি দিয়ে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা। বর্তমানে সাঁকোটি দুই দিকে হেলে পড়েছে। এ অবস্থায় লোকজন দিনে কোনো রকমে চলাচল করতে পারলেও রাতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।নদীর পাড় সংলগ্ন সাঁকোর পূর্বপাশে চরবলাকী গ্রামে বাজার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ নগর গ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকো। এ ছাড়া ৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত এ সাঁকো দিয়ে। এই চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। স্থানীয়রা জানান, মাঝে মাঝে লোকজন এসে নদীর পাড়ে মাপা মাপি করে। কিন্তু সেতুর কাজ আর শুরু করে না। নির্বাচন আসলেই প্রার্থীরা সেতু বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর সেতু বানিয়ে দেয় না। এ ব্যাপারে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল হক মিঠু দৈনিক ডোনেট  বাংলাদেশ কে বলেন, ওই স্থানের সাকোঁটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ওটার সংস্কার কাজ চলছে। সেতু নির্মাণ কিছুটা দেরি হবে। এ ব্যাপারে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ দৈনিক ডোনেট  বাংলাদেশ কে বলেন,উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় কেউ এ সেতু নিমার্ণের বিষয়টি উত্থাপন করেনি। সেতু তৈরি করতে ডিও লেটারের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।