মণিপুর দাঙ্গা স্কুলপড়ুয়া ছেলেরা এখন বন্দুকধারী যোদ্ধা


ভারতের মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান জাতবিদ্বেষ দ্বন্দ্বে মণিপুরে অশান্তি ক্রমেই বাড়ছে। মে মাস থেকে ঘটে আসা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এ দ্বন্দ্বে নতুন করে যোগ দিল স্কুলপড়ুয়া ছাত্ররা। পড়ালেখার বয়সে বনে গেল বন্দুকধারী যোদ্ধা। শত্রুদের লাগাম টানতে কুকি সম্প্রদায়ের সেসব কিশোররাই এখন ঘাড়ে অস্ত্র নিয়ে টহল দেয় পাহাড়ের টিলায়। এএফপি। তিন মাস আগের ঘটনা। ১৬ বছর বয়সি পাওমিনথাং চাষি কুকি সম্প্রদায়ের একজন ছাত্র ছিলেন। এখন তিনি একটি .৩০৩ রাইফেল নিয়ে শত্রুপক্ষের জন্য অপেক্ষা করেন। প্রতিহিংসার মাত্রা এতটাই তীব্র যে, প্রয়োজনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী মেইতেই সম্প্রদায়ের যোদ্ধাদের হত্যা করতেও প্রস্তুত। প্রতিশোধের নেশায় ক্ষুব্ধ পাওমিনথাং বলেছেন, মেইতেই সম্প্রদায় তার পরিবারকে আক্রমণ করার পরে তিনি তার বই-খাতা ফেলে দিয়েছেন। সঙ্গে থাকা বন্দুকটি চেপে ধরে বলেন, ‘তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল, আমার কাছে আর কোনো উপায় নেই। আমি গুলি করব।’ উত্তর-পূর্ব রাজ্যে হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিষ্টান কুকির মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে মে মাস থেকে কমপক্ষে ১২০ জন নিহত হয়েছে। জাতিগত বিভাজন প্রতিশোধমূলক আক্রমণের তিক্ত চক্রে পরিণত হচ্ছে। ফলে হত্যা এবং বাড়িঘর, খ্রিষ্টান গির্জা এবং হিন্দু মন্দিরগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। প্রতিদ্বন্দ্বীরা মিলিশিয়া বাহিনী ঘটনের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মে মাসে যখন সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন জনতা পুলিশ স্টেশনে লুটপাট চালায়। এরপর থেকে ৩০০০ অস্ত্র এবং ৬০০,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ হারিয়ে গেছে।