মতপার্থক্য নিরসন করে ভোটে আসুন: সিইসি
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ, নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো- আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সব দলকে ভোটে আসার আহ্বানের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নিজেদের মেয়াদে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও সন্তোষজনক ছিল বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে ‘যথেষ্ট’ ভোটার উপস্থিতি থাকবে বলে আশা রাখেন তিনি।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা অনুমান করেছি, ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (উপনির্বাচনে) ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে- কারণ, সেখানে সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। আপনারা ইউনিয়ন কাউন্সিলের ভোট দেখেছেন সেখানে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল এবং ইভিএমে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। আমরা আশা করি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথার্থ হবে, সেই আশাবাদ আমি ব্যক্ত করছি।’
সিইসি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। আবহাওয়াগত কারণ হতে পারে, দুর্যোগের কারণে হতে পারে, শীতের কারণে হতে পারে; বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা এসেছেন কি না? তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে কি না? তারা ভোট দিতে পেরেছেন কি না? সেটাই বিশেষভাবে পরিধানযোগ্য আমাদের কাছে।’
ভোটারদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে আসার দায়িত্ব হচ্ছে প্রথমত ভোটারের নিজের। রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন- আমরা ভোটটা আয়োজন করব। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আমরা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সংস্থাগুলোকে স্ট্রিকলি বলে থাকি, আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের। এটা আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।’
ভোটার দিবসের এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে নির্বাচন ভবন থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নির্বাচন ভবনের সামনে শেষ করা হয়। আজ বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে ইসি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।