মাঠের বাইরে সাবেকদের আরেক লড়াই


বাবর আজমকে একহাত নিলেন ওয়াসিম আকরাম। শোয়েব আখতারকে শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তানের যখনই সাক্ষাৎ হয়, সেই ম্যাচের রেশ রয়ে যায় শেষ হওয়ার পরও। গত পরশু আহমেদাবাদে ভারতের কাছে সাত উইকেটে পাকিস্তানের শোচনীয় হারের পর কথার লড়াইয়ে কম যাননি দুদেশের সাবেকরা। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের এক টুইটের জবাবে শচীন টেন্ডুলকার লেখেন, ‘বন্ধু আমার, আমি তোমার পরামর্শ মেনেছি। সব কিছু ঠান্ডা রেখেছি।’ ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলির কাছ থেকে বাবরের জার্সি চেয়ে নেওয়া একদমই ভালো লাগেনি ওয়াসিম আকরামের। এই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার বলেন, ‘এমন বাজেভাবে হারের পর যখন সমর্থকরা কষ্ট পায়, তখন মাঠে কোহলির সঙ্গে বাবরের কথা বলা ঠিক হয়নি। এটা আড়ালে করা উচিত ছিল।’ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে শোয়েব আখতার শচীন টেন্ডুলকারকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেন। শোয়েব লেখেন, ‘তোমরা যদি আগামীকাল এমন কিছু করতে চাও, ঠান্ডা থাকো।’ তারই জবাব দেন শচীন। তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধু আমার, আমি তোমার পরামর্শ মেনেছি। সবকিছু ঠান্ডা রেখেছি।’ এরপর আবার এক টুইটে শোয়েব লেখেন, ‘বন্ধু, তুমি সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। খেলাটির সবচেয়ে বড় দূত। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ (কথার) লড়াই এটা বদলাতে পারবে না।’ শোয়েবের এই টুইটেরও উত্তর দিয়েছেন টেন্ডুলকার, লিখেছেন, ‘তুমি আর তোমার পরিবারের জন্য আমার শুভেচ্ছা।’ এদিকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলির কাছ থেকে তার সই করা জার্সি নিয়েছেন বাবর। সেটা পছন্দ হয়নি ওয়াসিম আকরামের। তিনি বলেন, ‘এভাবে সামনাসামনি দেখা করার মতো পরিস্থিতি তখন ছিল না। যদি তোমার চাচার ছেলে কোহলির জার্সি চায়, তাহলে সেটা গোপনে নেওয়া উচিত ছিল।’ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল এক লাখ ৩০ হাজার দর্শক। তবে পাকিস্তানি সমর্থক ছিল হাতেগোনা। টসের সময় পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে দুয়ো দিয়েছে ভারতীয় সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারের কাছে জানতে চান, মাঠের আবহ তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে কি না। জবাবে আর্থার বলেন, ‘সত্যি বলতে এই ম্যাচ দেখে আইসিসি ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, বিসিসিআইয়ের কোনো ইভেন্ট। তবে এটিকে অজুহাত হিসাবে দেখাতে চাই না।’ মাঠে এমন একপক্ষীয় পরিবেশ হওয়া উচিত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আর্থার বলেন, ‘দেখুন, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব বলে মনে হয় না। আমি জরিমানা দিতে চাই না।’