মানুষের কষ্ট বাড়ানোর জন্য বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দেশের মানুষের কষ্ট বাড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত অপরাজনীতির নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধিতা। তারা ভারতের পণ্য বর্জনের নামে পণ্যমূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা করে দেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের বিপক্ষে কথা বলে। তারা রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ নষ্ট করতে চায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নাছিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নিত্যপণ্য সামগ্রী আমরা সারা বিশ্ব থেকে আমদানি করি। এটি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। পণ্যমূল্য যেখানে কম হবে, আমদানি খরচ যেখানে কম পড়বে ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে আমদানি করবে। সারা দুনিয়ায় এটি গ্রহণযোগ্য। সে বিষয়ে বিরোধিতা করে পক্ষান্তরে পবিত্র রমজানে আমাদের জিনিসগুলোর দাম যাতে আরও বৃদ্ধি করানো যায়, তার চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা অসাধু ব্যবসায়ীদের উসকে দেওয়ার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করলে আমাদের ব্যয় কম হবে সেটি বর্জনের নামে তারা আমাদের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে কথা বলে। তারা মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছেন। সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দীর্ঘ ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য আমরা তার নেতৃত্বে লড়াই করেছি। এই লড়াই সংগ্রামে কত প্রাণ যে দিতে হয়েছে তার হিসাব করে শেষ করা যাবে না। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা উদ্ধার করতে পারলেও আমাদের সেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো আমাদের সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিলে আমাদের দেশের মানুষদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে, সেই হত্যাকারীদের দোসররা, উত্তরসূরিরা এখনো বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তে তাদের স্বার্থ পূরণের জন্য দেশের বিপক্ষে এবং দেশের ১৭ কোটি মানুষের বিপক্ষে অপকর্ম ও দুষ্কর্ম করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথকে নষ্ট করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, যারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও করছে, অপরাজনীতি করছে, দেশটাকে জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ বানাতে চায় সেই অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নিপীড়ন এক হতে পারে না। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা যদি রাজনৈতিক নিপীড়ন হয়, তাহলে আইনের শাসন কোনটা সেটি মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চাই।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যার্টাজী, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুলসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তর্গত থানা ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।