মার্কিন এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় হামলা ইউক্রেনের


গত সপ্তাহে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। রাশিয়া একটি বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। হামলার এক দিন পর এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে মস্কো। এদিকে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, গত সোমবার রাতে রাশিয়া একযোগে রেকর্ড ১৮৮টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে। এতে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। এ যুদ্ধে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করায় ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের তৈরি বিশেষ এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বলে বলা হচ্ছে। জবাবে রাশিয়া গত সপ্তাহে নতুন মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিক ব্যবহার করে ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে হামলা চালায়। রুশ ভূখণ্ডে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গত মঙ্গলবারের হামলার বিষয়ে রাশিয়া প্রথমে বলেছিল, বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন টুকরা পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন লেগে যায়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখন বলেছে, ইউক্রেনের নিক্ষেপ করা পাঁচটি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি ধ্বংস করা হয়েছে। তবে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়। এতে একটি রাডারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। এদিকে গত সোমবার ইউক্রেন রাশিয়ার শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ ধ্বংস করে দেয়। এ ঘটনাকে অনেক বেশি গুরুতর হিসেবে ধরা হচ্ছে। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সমকক্ষ ধরা হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, রুশ ভূখণ্ডে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে আছে।