মুজরি বাড়ানোর দাবিতে মালয়েশিয়ায় সহস্রাধিক শ্রমিকের মিছিল


মুজরি বাড়ানোর দাবিতে মালয়েশিয়ায় মিছিল করেছে সহস্রাধিক শ্রমিক। বুধবার মে দিবসে রাজধানী কুয়ালালামপুরের দাতারান মারদেকা স্কয়ারে সহস্রাধিক শ্রমিক একযোগে তাদের ন্যূনতম উচ্চ মজুরিসহ আরও ভালো অধিকারের দাবিতে মিছিল করে। শ্রমিকরা মেনারা মে ব্যাংক থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য দেশটির পার্টি সোসিয়ালিস মালয়েশিয়া (পিএসএম), পার্টি মুদা, পার্টি বেরসিহ এবং এমপাওয়ারের মতো মোট ৬০টি দলের সমর্থনে এ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, মিছিলের আয়োজকরা বলছে, ২০০২ সালের ন্যূনতম মজুরি আদেশের অধীনে বর্তমানে আমাদের মজুরি মাত্র ১৫০০ রিঙ্গিত, যা বর্তমানে আমাদের জীবনযাত্রা ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম। তারা আরও উল্লেখ করেছে, সমস্ত শ্রমিককে এই পরিমাণ অর্থও তারা দিচ্ছে না। এক বিবৃতিতে সমাবেশের আয়োজকরা বলেছেন, বি ফোর্টি নাগরিকরা (বি৪০), বিশেষ করে শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছাত্র, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক এবং বেকাররা উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মধ্যবিত্ত নাগরিকরাও এখন একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম ২০০০ রিঙ্গিত মজুরি করা, এটা শুধু নিয়মমাফিক সাধারণ খাতে শ্রমিকদের জন্য ১০০০ রিঙ্গিত করে নয়। এটি সবার জন্য বিশেষ করে, অভিবাসী শ্রমিকদেরও এ অধিকার দিতে হবে। মালয়েশিয়া কিনির পিএসএম চেয়ারম্যান মাইকেল জেয়াকুমার দেবরাজ জানিয়েছেন, গত পাঁচ দশকে মালয়েশিয়ার জিডিপি ২৪ গুণ বৃদ্ধি পেলেও শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে মাত্র ১.৩ গুণ। দেবরাজ জানিয়েছেন, দেশের সমৃদ্ধি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তবুও, সুযোগ সুবিধাগুলি এখনো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শ্রমিকদের জন্য কম রয়েছে। বেতন বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমস্ত বেসামরিক কর্মচারীদের উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাবলিক সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ওয়ান আহমেদ দাহলান আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে (বেতনের) কোনো সংশোধন করিনি। এ দিকে বুধবার পুত্রজায়ায় শ্রম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বেসামরিক কর্মচারীদের জন্য ১৩ শতাংশের বেশি হারে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। তার অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে পাবলিক অ্যান্ড সিভিল সার্ভিসেসের ইউনিয়ন অফ এমপয়িজের (কিউপ্যাকস) সভাপতি দাতুক ড. আদনান মাত বলেছেন, জনগণের জন্য দক্ষ এবং ভালো পরিষেবা সরকারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেসামরিক কর্মচারীরা জনগণ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহায়ক, তাই তাদের সম্পূর্ণ আস্থা ও দায়িত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আদনান বলেন, বেসামরিক কর্মচারীরা যদি উচ্চ মানের, অত্যন্ত সক্ষম এবং গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করে, তাহলে তা সরকারি খাতের সেবার বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগও কমাতে পারে।