মুন্সীগঞ্জে নৌ-পথে চাঁদাবাজ ও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান,আটক-৯


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নৌ-পথে চাঁদাবাজি ও বালু দস্যুদের বিরম্নদ্ধে অভিযান  পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রসিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে গত কাল  বুধবার (২১ আগষ্ট)  বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত  মেঘনা নদীর মোহনায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩টি ড্রেজার জব্দ ও বালু উত্তোলন ও নৌযান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৯জনকে আটক করা হয়।জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার  গুয়াগাছিয়া এবং পার্শ্ববর্তী মতলব উত্তর থানা সীমানা ঘেঁষে মেঘনা নদীতে একটা মহল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌ-পথে জলযান থেকে চাঁদা এবং অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছিল । গ্রাম ঘেঁষে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারনে হুমকির মুখে পড়ে এলাকার রা¯ত্মা ঘাট, জমি, গাছ পালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েও বালু খেকোদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।নদীতে নৌযান থেকে চাঁদাবাজি ও বালু দস্যুদের বিরম্নদ্ধে গজারিয়া নৌ থানায় মামলা হলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি একাজে জড়িতরা।সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গজারিয়া থানায় অবস্থান নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান নৌপথে চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার স্থানীয়দের আশ্বাস দেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার  নৌ-পথের চাঁদাবাজি ও বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান। একটি স্পিডবোট নিয়ে উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অভিযান শুরম্ন করে  পরে শাখা নদীগুলোতে দিনভর অভিযান চালানো হয়। এসময় গ্রাম ঘেঁষে বালু উত্তোলনের সময় তিনটি ড্রেজার জব্দ ও ৯জনকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যেরা।বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন,তাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং যে কোন অপরাধীদের সেনাবাহিনী ছাড় দেবে না।