মুন্সীগঞ্জে পদ্মার শাখা নদীতে নিখোঁজ বাবার পরে ছেলের মরদেহ উদ্ধার।


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ বাবা খালুর মরদেহের পড়ে ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে নিখোঁজ রামিন আরিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ঢাকাস্থ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র । ঘটনাস্থলের অদূরে তার মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।এর আগে গতকাল শুক্রবার ( ১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিখোঁজ রামিনের বাবা রেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু এবং তার ভায়রা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মরদেহ রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ঈদের ছুটিতে পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে গোসলে নেমে শুক্রবার বিকালে নিখোঁজ হয় বাবা-ছেলেসহ তিনজন।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তারা ওই উপজেলার বেসনাল এলাকার তাদের চাচা ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ট্রলারে করে ৩০-৩৫ জন মিলে দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হয়। এ সময় তারা ৩ জন‌ ছাড়া সবাই ট্রলার থেকে গোসলে নামে।গোসল করার সময় পা ফসকে নিহত রামিন আরিদ এর খালতো ভাই পড়ে গেলে রামিন আরিদ তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা ও খালু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়।এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক উদ্ধার কাজ শুরু করে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের টিম। পরে ঢাকার ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।টঙ্গীবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, শনিবার সকাল ৯ টা থেকে পুনরায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে রামিনের মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনেরই মরদেহ উদ্ধার শেষে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।