মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার চান ভুক্তভোগীরা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রোববার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘২১ আগস্টের ভুক্তভোগী পরিবার, জিয়ার শাসনকালে রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার পরিবারবর্গ, বিএনপি-জামাত কর্তৃক সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারবর্গ’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৯৭৭ সালে জাপানি বিমান হাইজ্যাকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমান ১৫০০ মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছিলেন। এতে তার কোনো বিচার হয়নি। নিয়ম মতো পরিবারের কাছে তাদের মরদেহও হস্তান্তর করা হয়নি। তাদেরকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছিল। জাতীয় চার নেতাকে অসহায় অবস্থায় জেলখানায় হত্যা করেছেন। তার পথ ধরেই খালেদা জিয়া শাসন করেছেন। তখন কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেনি।
তিনি জানান, সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো, তার মরণোত্তর বিচার এবং জিয়ার আমলে হওয়া সব হত্যা যাচাইয়ে কমিশন গঠন করা হোক।
মানববন্ধনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান লেলিন বলেন, যারা গাড়ি পুড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়, তাদের ব্যাপারে মানবতা লঙ্ঘিত হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুসারী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেসময় আওয়ামী লীগের একহাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। তখন দেশের সুশীল সমাজ ও সংগঠনগুলো মানবাধিকারের কথা বলেননি।
মো. কামরুজ্জামান লেলিন বলেন, সমস্ত হত্যা ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা চিহ্নিত রয়েছেন। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে ১৯৭৭ সালে নিহত সার্জেন্ট হাশেম মজুমদারের সন্তান মামুনুর রশীদ মামুন, আকবর আলী খানের সন্তান মুনীম, চাকরীচ্যুত সার্জেন্ট আব্দুল গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিকের সন্তান মাসুমা বেগমসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় ভুক্তভোগী সদস্যরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।