যেসব খাবার খেলে রোজায় শক্তি বাড়ে


রমজানে সেহরি থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা ও শক্তির ঘাটতি হয়। সে ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় কিছু সুপারফুড যুক্ত করা হলে শরীর একই সঙ্গে পুষ্টি ও শক্তি পাওয়া যাবে। যেমন— খেজুর: খেজুর একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। রোজার সর্বোত্তম ফল হিসাবে খেজুর পরিচিত। খেজুরে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, খেজুরে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণে ইফতারে এই ফলটি যোগ করা জরুরি। বেরি: বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের ভালো উৎস। এই ফল ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে। ফলে ক্লান্তি দূর হয়, শরীর শক্তি পায়। ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গে বেরি যোগ করতে পারেন। মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। মিষ্টি আলু খেলে শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করে এবং শক্তি পায়। ইফতারে এই খাবারটি অনায়াসে যোগ করতে পারেন। ওটস: রোজার সময় শরীরে শক্তি জোগাতে ওটসের জুড়ি নেই। ওটস এমন একটি কার্বোহাইড্রেট যা ধীরে ধীরে শক্তি প্রকাশ করে, এ কারণে এটি খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা অনুভূত হয় না। ওটসে পর্যাপ্ত পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত পুষ্টি এবং স্বাদের জন্য ওটমিলে ফল, বাদাম এবং বীজ যোগ করতে পারেন। বাদাম: বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড হলো পুষ্টিকর স্ন্যাকস, যা শরীরে শক্তি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এসব খাবারে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। বাদাম ও বীজ শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ইফতার বা সেহরিতে দইয়ের মধ্যে বাদাম এবং বীজ যোগ করে খেতে পারেন। এ ছাড়া কারও কোনো সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।