রাফাহর আরও ভেতরে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি ট্যাংক


যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের সহযোগিতায় গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের আরও ভেতরে প্রবেশ করছে ইসরাইলি ট্যাংক। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও বাসিন্দারা বলেছেন, বুধবার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও আটজন নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর ইসরাইলি ট্যাংক পাঁচটি এলাকায় প্রবেশ করে। আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের তাঁবুতে ভারি গোলাবর্ষণ ও গুলি হয়েছে। প্রায় আট মাসের যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরাইলকে রাজি করাতে পারেনি আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা। এই মধ্যস্থতার উদ্যোগকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলি সেনারা গাজার বেশিরভাগ এলাকাকে বর্জ্যস্তূপে পরিণত ও বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলে নিলেও এখনো পর্যন্ত তারা হামাসকে নির্মূল ও ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। চিকিৎসাকর্মী ও হামাসের সংবাদমাধ্যম বলেছে, আল-মাওয়াসিতে আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আতঙ্কে অনেক পরিবার গাজার উত্তরে আশ্রয় নিচ্ছেন। নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা। ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, হতাহতের খবর খতিয়ে দেখছে তারা। স্থানীয়দের কয়েকজন বলেছেন, রাফাহ শহরের পশ্চিমাংশে অনেক বাড়ি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, রাফাহতে আরেকটি ভয়াবহ রাত। যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ট্যাংক থেকে ইসরাইলিরা গুলিবর্ষণ করেছে। মাওয়াসি এলাকায় ঘুমন্ত মানুষের ওপর গুলি ও গোলা পড়েছে। এতে অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার সামরিক সংবাদদাতাদের ব্রিফিংয়ের সময় এক ইসরাইলি কমান্ডার বলেছেন, সাবৌরা ও তেল আল-সুলতান এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। হামাসের সব যোদ্ধা এখনো নিশ্চিহ্ন হয়নি। তাদের পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। এই গতিতে কম-বেশি একমাস সময় লাগবে।