‘রিয়ানের মৃত্যুর জন্য বিদ্যালয়ের মালিক ও শিক্ষকরা দায়ী’


রাজধানীর কদমতলীর পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র রিয়ান বাদশার বাবা ফারুক ও মা বিদ্যালয়ের সামনে আহাজারি করে বলেন, তার মৃত্যুর জন্য বিদ্যালয়ের মালিক ও শিক্ষকরা দায়ী। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। স্কুলে জাতীয় পতাকা টাঙানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থী রিয়ান বাদশা মারা যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ ও আয়া পারভিনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পৌনে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত রিয়ান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বনগ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক ফারুক হোসেনের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পলাশপুর ৫ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকত। রিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্কুলের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি ও জাকির হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদশা স্কুলে জাতীয় পতাকা টাঙাচ্ছিল। তখন পতাকার স্টিলের পাইপটি পাশের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শে আসে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়ে সে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কদমতলী থানার ওসি কাজী আবুল কালাম বলেন, শিক্ষার্থী পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ ও আয়া পারভিনকে আটক করা হয়েছে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা কদমতলী থানায় জানানো হয়েছে।