‘রেমালের’ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাগেরহাটে


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে; শনিবার দুপুর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। এর প্রভাবে আতঙ্ক বাড়ছে জেলার নদী র্তীরবর্তী মানুষের মধ্যে। মোংলা বন্দরে ১ নম্বর সংকেত চললেও বন্দরে থাকা দেশি-বিদেশি জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ‘রেমালের’ গতিবিধি পর্যাবেক্ষণ করেছেন তারা। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে জুমে জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসোনের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠান হয়। সভায় জেলার ৩৫৯টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ত্রাণ বাবদ ৬৪৩ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় উপজেলা মোংলা মোরেলঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার, স্কাউটের ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওই তিন উপজেলায় ঝড় সহনশীল শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রাখা, শুকনো খাবার মজুত, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী মজুদ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।