রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সদিচ্ছা রয়েছে: জান্তা সরকারপ্রধান


রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আন্তরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। দেশটিতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বুধবার জেনারেল হ্লাইংয়ের কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশ করেন। সে সময় এমন কথা জানান দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান। নেপিদোর বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন সকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রাচার বিভাগের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রদূতকে দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ হোটেল থেকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাযোগে প্রেসিডেন্ট ভবনে নিয়ে যান। সেখানে রাষ্ট্রাচার মহাপরিচালক তাকে স্বাগত জানান। এরপর প্রেসিডেন্ট ভবনের নতুন নির্মিত ক্রেডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র গ্রহণ করে চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। আলোচনার শুরুতেই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেনকে অভিনন্দন জানান এবং উপস্থিত মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আলোচনায় মিয়ানমার-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়, যেমন- বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য সম্পর্ক, আকাশ, স্থল ও নৌপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, মানব-পাচার, মাদক-পাচার ও অস্ত্র চোরাচালানসহ প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা-সহযোগিতা, সামরিক সহযোগিতা এবং জনযোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় হয়। বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত যথাসম্ভব দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছাধীন প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। চেয়ারম্যান এ বিষয়ে তার সরকারের আন্তরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রকাশ করে শিগগিরই প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের অধিকতর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের যুগ্ম-সচিব লে. জেনারেল ই এন উসহ অন্য কর্মকর্তারা।