লৌহজংয়ে চেক জালিয়াতি মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি কারাগারে।


মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন ইমন তবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বিভিন্ন কাগজপত্রে নাম পাওয়া যায় মো. ফরহাদ বয়াতী, পিতা- জলিল বয়াতী, কুমারভোগ ইউনিয়ন, শিমুলিয়া মাওয়া ৮নং ওয়ার্ডের সেখ পাড়ার একজন বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন রিয়েল, প্রতিষ্ঠান- বাহার ফেব্রিক্স এর পক্ষে সৈয়দ আসিফ আজিজ বাদী হয়ে ঢাকা বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দায়ের করা চেক জালিয়াতি মামলা নং-১০৪৯-২০২১ ধারা ৪২০/৪০৬/৫০৬ বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।মামলার তথ্য থেকে জানা যায়, গত ২০১৯ সাল থেকে ফরহাদ মো. আনোয়ার হোসেন রিয়েল প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা শুরু করে নগদ টাকা ও বাকিতে থ্রি পিস ও গজ কাপড় ক্রয় করতে করতে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় চেকের ২০১৯ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৩টি চেকে সর্বমোট টাকা ৮০ লক্ষ টাকা, এছাড়া বাকিতেসহ সর্বমোট ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার বেশি। তার তারিখ মত ব্যাংকে চেক জমা দিলে একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক চেক ফেরত দেয়। এ বিষয়ে তার সাথে কথা বললে টাকা দেই, দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।বিষয়টিতে লৌহজং থানা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের দিকে তারা তাকিয়ে আছে কি সিদ্ধান্ত আসে। এছাড়া তারা সকল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যারা আছে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানায় মো. ফরহাদ এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।