শস্য চুক্তি প্রত্যাহার করার পর আবারও চুক্তিতে ফিরতে পাঁচ শর্র্ত দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বললেন, পশ্চিমারা তাদের পাঁচ শর্ত পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়া অবিলম্বে চুক্তিতে ফিরে আসবে।
স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।
কৃষ্ণসাগর রুট ধরে ইউক্রেনের শস্য সরবরাহের নতুন শর্তগুলো হলো-১. সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশনে (সুইফট) রাশিয়ার কৃষি ব্যাংককে আবারও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. রাশিয়ান কৃষি যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে হবে। ৩. রুশ জাহাজের বিমা ও বন্দরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে হবে।
৪. রুশ টোগলিয়াত্তি থেকে ইউক্রেনের ওডেসা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত অ্যামোনিয়া রপ্তানির পাইপলাইনগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে।
৫. রুশ সার কোম্পানিগুলোর অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক কার্যক্রমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
সন্ধির পাশাপাশি কৃষ্ণসাগর নৌ-রুট ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে কঠোর হুমকিও দিয়েছে মস্কো। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউক্রেনের বন্দর থেকে ছাড়া সব জাহাজকে সামরিক লক্ষবস্তু হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
গত সোমবার শস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে রাশিয়া। চুক্তি প্রত্যাহারের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা জানায় জাতিসংঘ। হু হু করে দাম বাড়তে পারে পণ্যের।
ইতোমধ্যে গমের দাম আগের দামের থেকে বেড়েছে ৮.২ শতাংশ। ভুট্টার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশে। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান সতর্কতা দিয়ে জানান, ‘কৃষ্ণসাগরের শস্য সংকট গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুতিন বিশ্বকে খাদ্য সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
শস্য চুক্তি প্রত্যাহারের পর থেকেই ইউক্রেনের বন্দর শহরগুলোতে মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। যা কৃষি অবকাঠামোর ৬০ হাজার শস্য ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দক্ষিণ ওডেসা অঞ্চলে টানা দু’দিনের হামলার পর বুধবার রাতে মাইকোলাইভে হামলা চালানো হয়। স্থানীয় কর্মকর্তার মতে, বুধবার রাতে ইউক্রেনের বন্দর শহর মাইকোলাইভে রুশ বিমান হামলায় ১৮ জন আহত হয়েছে।
ওই অঞ্চলের গভর্নর ভিটালি কিম জানান, ‘৫ শিশুসহ আহতদের মধ্যে ৯ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ বলেছেন, ‘কৃষ্ণসাগরে বেসামরিক জাহাজে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। হামলার জন্য দায়ী করতে পারে ইউক্রেনকে।’
রুশরা ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সমুদ্র মাইন স্থাপন করেছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবারও ইউক্রেনের বন্দর এলাকায় রুশ হামলা অব্যাহত ছিল।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।