শাকিব ইস্যুতে ‘রিভেঞ্জ’ ছবির পরিচালকের ওপর মেজাজ হারালেন বুবলী


ঈদুল আজহায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি সিনেমা। এগুলো হচ্ছে ‘তুফান’, ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘রিভেঞ্জ’, ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ও ‘আগন্তুক’। চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটি নির্মাণ করেন পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল। ছবির প্রচারে তেমন একটা দেখা যায়নি বুবলীকে— এমন অভিযোগ ছবির পরিচালকের। তিনি দাবি করেন, হয়তো চিত্রনায়ক স্বামী শাকিব খানের ‘তুফান’ ছবি মুক্তির কারণে বুবলী ‘রিভেঞ্জ’ ছবির প্রচারে ছিলেন না। এদিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বুবলী। তিনি জানান, তিনি তার সিনেমার প্রতি দায়িত্বশীল। তাই ঈদের আগে বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সব প্রমোশনাল টিভি প্রোগ্রামে ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমা নিয়ে কথা বলেছেন। ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমার পরিচালকের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে কোথায় প্রচারে থাকলাম না। এখানে ‘তুফান’ এল কোত্থেকে।’ বুবলী বলেন, ‘আমার পরিবার বলেন, সহশিল্পী বলেন, স্বামী বলেন এবং সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে আমার সন্তানের বাবা বলেন—তাকে নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি অসম্মানজনক কোনো মন্তব্য করেন, আমি অবশ্যই সে ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলব। তাই যেদিন থেকে দেখেছি, শাকিব খানকে নিয়ে ইকবাল ভাই আপত্তিকর মন্তব্য শুরু করলেন, তখন থেকেই আমি তাকে এড়িয়ে চলি। এরপর ইকবাল ভাই আমাকে নিয়েও বেফাঁস কথা বলা শুরু করলেন। এসব পরিস্থিতির আগেই ‘রিভেঞ্জ’ ও ‘বিট্রে’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়, যার কারণে পেশাগত জায়গা থেকে কাজগুলো শেষ করেছি।’ এদিকে ‘বিট্টে’ ছবি থেকে বাদ পড়ার বিষয়েও মুখ খুলেছেন বুবলী। তার মতে, ‘বিট্রে’ থেকে নিজেই সরে এসেছেন। বুবলী বলেন, ‘বিট্রে’ সিনেমার পরিচালক ইকবাল ভাইয়ের আরেকটি সিনেমা ‘রিভেঞ্জ’ এই ঈদে মুক্তি পায়। তিনি সব সময় বিভিন্ন জায়গায় নানান বিষয়ে নানান ধরনের মন্তব্য করেই যাচ্ছেন, এসবে যে তার সিনেমার ওপর দর্শকদের প্রভাব পড়ছে, তিনি তা তোয়াক্কা করছেন না। ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটির শুটিং চার বছর আগে করেছি। কাছাকাছি সময়েই ‘বিট্রে’ ছবিটি সাইন করা হয়, তখন পরিস্থিতি এখনকার মতো ছিল না। সিনেমার পরিচালক যথেষ্ট সম্মান দিয়ে আমাকে ছোট বোন হিসেবে তার সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেন। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে দেখলাম, ইকবাল ভাই আমাকে নিয়ে বা আমার অন্যান্য মুভি নিয়েও নানান মন্তব্য শুরু করলেন। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘রিভেঞ্জ’ মুভিতে আমি তো শুধু আমার অংশের শুটিং করেছি, পুরো মুভি কী হচ্ছে, গল্প কোথায় যাচ্ছে, এডিটিং কেমন হচ্ছে, বাকি শিল্পীদের কাজ কেমন হচ্ছে, সম্পূর্ণ মুভিটা কেমন দাঁড়াল—এটা তো আমার দায়িত্ব নয়, এ দায়িত্ব পরিচালকের। কিন্তু তিনি সব দায় তার সিনেমার নায়ক-নায়িকার ওপর দিচ্ছেন। কী হাস্যকর কথা! মনে হয়েছে, তার পরবর্তী সিনেমা নিয়েও তিনি হয়তো বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারেন। তাই আমিও মনে করলাম, নিজে থেকে সরে আসাই ভালো।’ এদিকে ‘মায়া দ্য লাভ ২’ ছবি থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে বুবলীর বলেন, ‘এ ছবিতে চুক্তিবদ্ধই যেখানে হইনি, সেখানে তো বাদ পড়ার কিছুই নেই।’