শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: আমিনুল হক


বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত ৬টি পরিবারের সঙ্গে আলাদা আলাদা দেখা করে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ বোঝে যড়যন্ত্রের হোতা কে? অবিলম্বে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যেভাবে এদেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন- নিপীড়ন-অত্যাচার ও হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে। সাবেক এই গোলরক্ষক আরও বলেন, এদেশের মাটিতে আর কোনও স্বৈরাচারের স্থান নেই। আমরা আর কোনও স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমিনুল হক গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৬ জন ছাত্র- আমিনুল ইসলাম হৃদয়, শাহরিয়ার হোসেন আলভী, মো. সানি, সাব্বির হোসেন রনি, জুলফিকার আহমেদ সাকিল ও লিটন হোসেন লাল্লুর বাসভবনে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন,ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান,যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী,আনিসুর রহমান আনিস, রুপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমেদ রাজু,পল্লবী ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনসহ স্হানীয় বিএনপি ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।