শ্রীপুর জারিয়া গ্রামে চোর সন্দেহে কলা ব্যবসায়ীর উপর বাগান মালিকের হামলা


মাগুরার শ্রীপুরে চোর সন্দেহে কলা ব্যবসায়ীর উপর বাগান মালিক কতৃক অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার জারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় কলা ব্যবসায়ী নয়ন মোল্লা (৩৫) মারাত্মক আহত হয়। আহত নয়ন উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কুপুড়িয়া গ্রামের আবু কালাম মোল্লার ছেলে। বর্তমানে সে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে নয়ন মোল্লার স্ত্রী মুনিয়া খাতুন রিনি বাদী হয়ে জারিয়া গ্রামের ওই কলা বাগানের মালিক বিদ্যুৎ প্রকাশ রায় (৫৫) কে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়েরের পরিপেক্ষিতে বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎ প্রকাশ রায়কে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামের বিদ্যুৎ প্রকাশ রায় পার্শ্ববর্তী কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কুপুরিয়া গ্রামে কলা ব্যবসায়ী নয়ন মোল্লার কাছে তার বাগানের কলা বিক্রি করেন। বেশ কয়েকদিন আগে ওই বাগানের কলা চুরির ঘটনা ঘটেছে। কলা ব্যবসায়ী নয়ন মোল্লার কলা কাটতে দেরি হওয়ায় তিনি ওই বাগানের মালিক বিদ্যুৎ প্রকাশ রায়কে পাহারা দিতে বলেন। মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে ওই কলা বাগানে পাহারায় থাকা অবস্থায় কলা ব্যবসায়ী নয়ন মোল্লা কলা কাটতে যাই। ভোর সকাল ও ঘন কুয়াশার কারণে তাকে চিনতে না পেরে চোর সন্দেহে বিদ্যুৎ প্রকাশ রায়ের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে তাকে চিনতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর কথা বলে জানা যায়, ওই কলা বাগানে কিছুদিন আগেও কলা চুরি হয়েছে। মাঠের মধ্যে ভোর ৪ টার দিকে সে অবশ্যয় চুরি করার উদ্দেশ্যেই আসছিলো। তা না হলে সে অবশ্যয় মালিককে জানিয়েই তার বাগানে কলা কাটতে আসতো। এ বিষয়ে আহত নয়ন মোল্লা জানান, আমি সকাল ৬ টার দিকে কলা কাটার জন্য তার কলা বাগানে গিয়েছিলাম। সে অতর্কিত আমার উপর আক্রমণ করে। আমার কাছে থাকা ব্যবসার ৮৫ হাজার টাকা আমি হাসপাতালে আসার পর পায়নি। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ৮৫ হাজার টাকা উল্লেখ করলেও তিনি অভিযোগপত্রে ৩০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ প্রকাশ রায় জানান, এ বাগান থেকে এর আগেও ৭ কান কলা চুরি হয়েছে। যার কারণে আমি এই শীতে কষ্টের মধ্যে কষ্ট করে পাহারা দিই। আমি এ বাগান নয়ন মোল্লার কাছে বিক্রি করেছি। শুধু বায়নার টাকা পেয়েছি। কিন্তু সে কলা কাটতে গড়িমসি করে। এইদিন সে কলা কাটতে আসবে এ কথা আমাকে জানিয়ে আসেনি। আমি চোর ভেবেই আমার হাতের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করেছি। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে আটক করা হয়েছে।