শ্রীপুর পরিবার পরিকল্পনার অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে নাবালিকা শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মোঃ মেহেদি খান, উপজেলা প্রতিনিধি শ্রীপুর, মাগুরা
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহকারী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নাবালিকা শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ২০ জুন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযোগকারী ফাতেমা খাতুন এর দেবরের স্ত্রীর পুত্র সন্তান হয়।পরবর্তীদিন ২১ জুন রাত ৯.৩০ টার দিকে ফাতেমা খাতুন তার মেয়ে মিরা খাতুনকে নিয়ে হাসপাতালে ওই বাচ্চা দেখতে যান।হাসপাতালে মধ্যে নতুন বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তালা থেকে দ্বিতীয় তালায় আসার পর পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান মিরা খাতুনকে ধরে টানতে থাকে এবং বলে চলো উপরে তোমার চাচার ছেলের দেখে আসি।তখন মিরা খাতুনের মা ফাতেমা খাতুন বলে আমরা বাচ্চা দেখছি এখন বাসায় যাবো রাত অনেক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হাবিবুর রহমান হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে তাহার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ কাতরে হাত দিয়ে বোলাইতে থাকে।তখন সে ভয়ে চিৎকার করায় হাবিবুর রহমান তাকে ছেড়ে দিয়ে নিচেই চলে যায়।পরে মিরা খাতুনের পরিবার হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বললে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং চুপ থাকার হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগকারী মিরা খাতুনের মা বলেন,আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।ঘটনার পর থেকে হাবিবুর রহমান আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেছে এবং হুমকি প্রদান করছে এই নিয়ে নানা চাপে রয়েছি।এই বিষয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করছি আশা করি এর সঠিক বিচার পাবো।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান একাধিকবার ফোন দেওয়ার পর ফোন রিসিভ করেন কিন্তু বক্তব্য দিতে রাজি নন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,ইতিপূর্বে হাবিবুর রহমান এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে যার কোনো বিচার হয়নি।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি রয়েছে। আমরা চাই এর সঠিক বিচার হোক যাতে পরবর্তীতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে।
এই বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।