সিন্ডিকেট করলেই কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্য উপদেষ্টা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
খাদ্য উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ধান-চাল ক্রয়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি ক্রয় অভিযানে যেসব মিল মালিক চুক্তি মোতাবেক সরকারকে চাল দেবে না তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধান অনুসারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে আমন সংগ্রহ উদ্বোধন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় খাদ্য সচিব মাসুদুল হাসান ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী রোববার থেকে আমন ধান সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। সরকার সব সময় অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করবে। তবে ধান ও চাল পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও ধান চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিকটন কম উৎপাদন হয়। অর্থাৎ গমের বার্ষিক চাহিদা ৭০ লাখ মেট্রিকটন, আর উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ মেট্রিকটন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি মজুত প্রায় ১২ লাখ মেট্রিকটন। আরও এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে। চাল আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চলতি বছর প্রতি কেজি ধানের দাম ৩৩ টাকা, সিদ্ধ চালের দাম ৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা আমাদের খাদ্য জোগান দিচ্ছেন। তারা উৎপাদিত ধান ও চালের ন্যায্য মূল্য না পেলে সংক্ষুব্ধ হবে। তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাছাড়া ধানের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।
সুতরাং সরকার কৃষকদের বিষয়টি বিবেচনায় রেধে ধান ও চালের মূল্য নির্ধারণ করেছে। আমন চাল পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ধান তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং আতপ চাল ১ লাখ মেট্রিক টন।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে আমরা চাপে আছি। তবে গত এক সপ্তাহ চালের দাম কিছুটা কমেছে। আমন ধানের চাল বাজারে এলে আরও কমে যাবে।
তিনি বলেন, চাল ছাড়াও অন্যান্য সবজিও বন্যায় বিনষ্ট হয়েছে। উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদার তুলনায় জোগান কম। যে কারণে পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। আশা করি, শিগগিরই কেটে যাবে এ অবস্থা।
চুক্তি করে যদি কোনো মিল মালিক চাল না দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে যদি কেউ সিন্ডিকেট করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষক যাতে সরকারি নির্ধারিত মূল্য পায় সেই বিষয়ে সরকার তৎপর থাকবে।
এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে উপদেষ্টা বলেন, অনিয়ম থাকলে আপনারা লিখুন আমরা ব্যবস্থা নেব।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।