সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
অনলাইন নিউজ ডেক্স
সৌদি আরবের আসির প্রদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান জানান, আসির প্রদেশে আকাবা শারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আরও ৬ প্রবাসী বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নতুন করে পরিচয় পাওয়া ৬ জন হলেন- খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া। তবে তাদের বিস্তারিত এখনো জানতে পারেনি দূতাবাস।
সোমবার ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়।
খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার আসির প্রদেশ এবং আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে বাসটির ব্রেক ফেল হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত এবং তার মধ্যে বাংলাদেশি ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
ওই আটজন হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া।
এরপর বুধবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন নতুন করে আরও ৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা জানান।
তারা হলেন- কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যশোরের রনি এবং কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলিত বাংলাদেশিদের মধ্যে আহত ১৬ জনের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন এবং কয়েকজন এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।