স্টারমারের ২০ মন্ত্রীর ১১ জনই নারী


যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর দায়িত্ব নেওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। এর পরপরই তিনি ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন। খবর বিবিসি, ডেইলি মেইল, আলজাজিরার। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, স্টারমার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, শুক্রবারই মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল নাগাদ ডাউনিং স্ট্রিটে একে একে ডাক পান লেবার পার্টির অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠ সংসদ-সদস্যরা। স্টারমার ২০ মন্ত্রী বেছে নিয়ে তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। এই মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রী (চ্যান্সেলর অব একচেকার) পদসহ রেকর্ড ১১টি পদে নারীদের বেছে নিয়েছেন স্টারমার। যুক্তরাজ্যের নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন ৪৪ বছর বয়সি অ্যাঞ্জেলা রেইনাহ। অন্যদিকে দেশের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র‌্যাচেল রিভস। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে ৪৫ বছর বয়সি রিভসই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হলেন। সাবেক শিশু দাবা চ্যাম্পিয়ন ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অর্থনীতিবিদ রিভস দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় অর্থ বিভাগের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালনকারী ইয়েভেত্তে কুপার। ৫১ বছর বয়সি প্রখ্যাত আইনজীবী ডেভিড ল্যামিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ব্রিটেনে সর্বকনিষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত ল্যামি এর আগে টনি ব্লেয়ার এবং গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায়ও দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ওয়েস স্ট্রিটিংকে। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন ব্রিজেট ফিলিপসন। তিনি স্টারমারের খুবই ঘনিষ্ঠ। জ্বালানিমন্ত্রী করা হয়েছে এড মিলিব্যান্ডকে। এছাড়া বিচারমন্ত্রী করা হয়েছে শাবানা মাহমুদকে। তুখোড় আইনজীবী শাবানা অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। সাবেক কনজারভেটিভ নেত্রী লিজ ট্রাসের পর তিনিই দ্বিতীয় নারী হিসাবে এই দায়িত্ব পেলেন। জোনাথন রেনল্ড দায়িত্ব পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং লিজ কেন্ডাল শ্রম ও কারামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জন হিলি। লুইস হেইঘ হয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী। অপরদিকে লিসা ন্যান্ডিকে সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী করা হয়েছে। এছাড়া হাউজ অব কমন্স নেতা করা হয়েছে লুসি পাওয়েলকে। লর্ডসের নেতা হয়েছেন ব্যারোনেস স্মিথ। পার্লামেন্টে লেবার পার্টির চিফ হুইপ করা হয়েছে অ্যালান ক্যাম্বলকে। অর্থমন্ত্রী রেইচেল রিজের সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড্যারেন জোনস। ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর হয়েছেন প্যাট ম্যাকফ্যাডেন। যুক্তরাজ্যের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ দেওয়া হয়েছে রিচার্ড হারমারকে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কনজারভেটিভ পার্টিকে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে।