স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে তামাশা করা ফৌজদারি অপরাধ: কাদের


\'স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে তামাশা করা কোনো ভুল নয়, এটি ফৌজদারি অপরাধ\' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আরও একটি পঁচাত্তর তৈরি করতে চাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচন ভণ্ডুল করে অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সংবাদ সে ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশবাসীর কাছে জনপ্রিয়। মানুষ ভালোবেসে টানা তিন মেয়াদে এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। কিন্তু প্রথম আলো জনপ্রিয় সরকারকে হেয় করার জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রথম আলোর সংবাদটি যে ভাষায় একটি দিনমজুরের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, সেটি সাধারণ দিনমজুরের বক্তব্য না কি প্রথম আলোর দেওয়া বয়ান, সেটি ভাববার সময় এসেছে। কাদের বলেন, ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগ, লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর এ উদ্যোগ জাতিসত্তাবিনাশি অপতৎপরতা নয় কি? স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশ প্রেম ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির একটি অনন্য দিন। অথচ এই দিনে পলিটিক্যালি সিলেকটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্যে ওই সংবাদটি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অর্জনকে অস্বীকার করার সামিল নয়? প্রথম আলো দেশে নৈরাজ্যের চেষ্টায় অপসাংবাদিকতা করেছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনার দায় পত্রিকাটির সম্পাদক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। অথচ ক্ষমা না চেয়ে চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে পত্রিকাটি। তরুণ প্রজন্মকে উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন।