‘স্বৈরাচারের কোনো অপশক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে’


অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমকে বিতর্কিত করতে বিগত ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের দোসররা এখনো সক্রিয় থেকে গোপনে নানা কৌশলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনমনে যাতে ভীতির সঞ্চার এবং স্বৈরাচারের কোনো অপশক্তি যাতে মাথাচাড়া না দিয়ে ওঠে, এ বিষয়েও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে তিনি বলেছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভাগ ও জেলা কমিটির সব স্তরের কর্মরত সদস্যরা সুশীল সেবক হিসাবে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নমুখী জনবান্ধব জনপ্রশাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সদস্যদের কল্যাণ, পদমর্যাদা রক্ষা, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ যুগোপযোগী জনপ্রশাসনব্যবস্থা বাস্তবায়নে রয়েছে এ অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও গৌরবান্বিত অতীত। কিন্তু বিগত ১৫ বছর আমাদের এ গৌরবান্বিত অতীত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পুনরুদ্ধার করা অতীব জরুরি। এছাড়া এ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মূলধন হচ্ছে উন্নত পেশাগত মান, কর্মদক্ষতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা এবং সুশৃঙ্খল আচরণ; যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবে। চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে অগণিত ছাত্র-জনতার আÍত্যাগের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ও বঞ্চনামুক্ত দেশগড়ার প্রত্যয়ে জনপ্রশাসনের ভূমিকা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এরূপ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনআকাক্সক্ষা পূরণ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কারমূলক কার্যক্রমসহ বেশকিছু ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণপূর্বক কাজ করে যাচ্ছে, যা সব মহলের প্রত্যাশাও বটে। জনপ্রত্যাশা পূরণে অ্যাসোসিয়েশনের সব পর্যায়ের সদস্য আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনপূর্বক অন্তর্বর্তী সরকারের সব কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত নবীন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়মিত সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি করা আবশ্যক। যাতে নবীন কর্মকর্তারা অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারেন। অ্যাসোসিয়েশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি হিসাবে এ ধরনের সাক্ষাৎকালে আপনি নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌহার্দ, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ প্রভৃতি এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে অধিকতর যত্নবান হওয়ার প্রতি আহ্বান জানাতে পারেন। আপনি যখন জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে কর্ম উপলক্ষ্যে সফর করবেন, তখন তাদের সঙ্গে আপনার সহজ সম্পর্ক তাদের শিখতে ও জানতে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।