হঠাৎ নেতাকর্মীশূন্য বিএনপি কার্যালয়, ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন


হঠাৎ নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়েছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। বুধবার বিকালের পর থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করে দলীয় কার্যালয়। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনভর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাজারো নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ঢাকার বাইরের জেলা থেকে নেতাকর্মী। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কার্যালয়ের দুই পাশে রাস্তায় দুটি জলকামান ও একটি রায়ট কার দাঁড় করিয়ে রাখে পুলিশ। কার্যালয়ের তিন পাশে দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পল্টন জামে মসজিদের সামনে পুলিশ সদস্যদের একটি দল অবস্থান করে। সেখানে একটি জলকামান দেখা যায়। কার্যালয়ের উত্তর পাশে পুলিশের আরেকটি দল অবস্থান নেয়। সেখানেও একটি জলকামান ও একটি রায়ট কার রাখে। কার্যালয়ের উল্টো দিকে রাস্তায় পুলিশ সদস্যদের আরেকটি দল অবস্থান করে। দলের কার্যালয়ের আশপাশের দোকানপাট বন্ধ দেখা যায়। এ সময় পুলিশ হ্যান্ড মাইকে নেতাকর্মীদের কার্যালয়ের ভেতর ও সামনে থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। কার্যালয়ের ভেতরে থাকা সিনিয়র নেতারাও পুলিশকে সহযোগিতা করতে দেখা দেখা যায়। পরে হঠাৎ করেই অনেকটা শূন্য হয়ে যায় নয়াপল্টন কার্যালয়। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন ছাড়া সব নেতাকর্মী দ্রুত কার্যালয় ছেড়ে চলে যান। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, যেহেতু বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এর আগে কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হয়। এতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এ বৈঠকে মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দলটি। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির বেশিভাগ সদস্য গোলাপবাগে সমাবেশ না করার বিষয়ে মত দেন।