হরিণাকুন্ডুর নবগঙ্গা নদীর বাঁধ উচ্ছেদ করল উপজেলা প্রশাসন


হাইকোর্ট এর নির্দেশ নবগঙ্গা নদীতে আড়া আড়ি ভাবে দেয়া মাটির বাঁধ অপসারণ চলমান রয়েছে, হাইকোর্ট একই সঙ্গে সীমানা জরিপ করে করে ৬০ দিনের মধ্যে দখলদারিদের তালিকা দাখিল করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা পালনে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ উপজেলার সোনাতনপুর গ্রামে নবগঙ্গা নদীর বাঁধ উচ্ছেদ অভিজান পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায় সহ ঐ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এই উচ্ছেদ অভিযানে শক্তিশালী দুইটি ড্রেজার ব্যবহার করা হয় অভিযানে সহযোগীতা করেন সোনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি, টুআইসি সহ পুলিশ সদস্য। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন জানান, জনস্বার্থে আনা এক রিট আবেদনে শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ঝিনাইদহে প্রবহমান নবগঙ্গা নদীর আড়াই কিলোমিটারে সাত জায়গায় আড়া আড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর ওই অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে চাঁদপুর বাঁওড় নামকরণ করা হয়েছে। এরপর ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর সাথে প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি আবেদন করা হয়। পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলে জানান তিনি।সহকারী কমিশন(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায় জানান, দৌলতপূর ইউনিয়নে নবগঙ্গা নদীতে মাটি ভরাট করে তৈরী করা তিনটি বাঁধ উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন কাপাশহাটিয়া গ্রামে তিনটি ও চাঁদপুর ইউনিয়নে দুইটি বাশের তৈরী বড় আকারের বাঁধ অপসারণ করেছে।

সর্বশেষ :