হাতিরপুলে আগুনের উৎস এখনো অজানা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার বহুতল ভবনের কার্পেটের গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে ভবনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে ছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রত্যেকটি ফ্লোরে নিয়ম অনুযায়ী জানালা না থাকায় এই ঝুঁকি কয়েক গুণে বেড়ে যায়। তাছাড়া কোনো ফায়ার এক্সিটও ছিল না। ভেন্টিলেশনের অভাবে ভবনের দেয়াল ভেঙে কাজ করতে হয় উদ্ধারকারী সংস্থাকে। প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে আগুন পুরোপুরি নেভাতে কিছুটা সময় লাগে ফায়ার সার্ভিসের।
শুক্রবার বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুনের সূত্রপাত, ক্ষয়ক্ষতি এবং উদ্ধারের বিষয়গুলো এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছয়তলা ভবনের সামনের অংশ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হচ্ছিল। পেছনের অংশ ব্যবহার হচ্ছিল আবাসিক হিসেবে। দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগলেও ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের উৎসস্থলে যেতেই বেগ পেতে হয়। ভবনের বাসিন্দারা জানান, ভবনটির একেক ফ্লোরের একাধিক মালিক রয়েছেন। এসব নিয়ে অভ্যন্তরীণ কিছু ঝামেলাও রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছিল। এটি মূলত একটি কার্পেটের গোডাউন। রাবারের যে কার্পেটগুলো আছে, সেগুলোর মজুত রয়েছে। একই সঙ্গে এখানে কাপড়ও আছে।
তিনি বলেন, এখানে কোনো ভেন্টিলেশন সিস্টেম নেই। আমরা দুই পাশ দিয়ে দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছি। আগুনের সূত্র বের করতেই সময় লেগেছে। কারণ, ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা ছিল না। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটের দিকে হাতিরপুল কাঁচাবাজার এলাকার রাজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।