হামাসের হামলা: নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদ ইসরাইলি তদন্ত সংস্থার
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর কীভাবে ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামলা চালাল—সে সম্পর্কিত তদন্তের অংশ হিসেবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং রাষ্ট্রটির স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইসরাইলের সরকারি তদন্ত সংস্থা। খবর রয়টার্সের।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার তাদেরকে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল। সেই তলবে সাড়া দিয়ে কার্যালয়ে উপস্থিতও হয়েছিলেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে ইসরাইলের সরকারি তদন্ত সংস্থার প্রধান মাতানিয়াহু অ্যাঙ্গলমানের দপ্তর থেকে।
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তাদের হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন মানুষ।
জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনো চলছে। সেই অভিযানে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বস্তুত, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল ইসরাইলের গত ৭৫ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর মাতানিয়াহু এঙ্গলমান বলেছিলেন হামাস কীভাবে এত বড় একটি হামলা ঘটাতে সক্ষম হলো— তা তদন্ত করতে চায় তার দপ্তর।
তিনি আরও বলেছিলেন, হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ঘটনা ও বিষয় যাচাই এবং বিশ্লেষণ করা হবে।
পরে ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাঙ্গলমান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার দপ্তর এই মর্মে নিশ্চিত হয়েছে যে, ইসরাইলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ‘বহুমুখী ব্যর্থতা ও গাফিলতি’ এই হামলার ভয়াবহতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করবেন তার দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বুধবারের ফেসবুক পোস্টে এঙ্গলমানের দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধের ছয় মাস ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে। এই যুদ্ধের জন্য যারা দায়ী, তাদের কাছ থেকে এ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা জানার অধিকার ইসরাইলের জনগণের রয়েছে। রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থার প্রধান জনগণকে এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য দিতে প্রত্রিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে মাতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বুধবারের ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তদন্ত কর্মকর্তারা যেসব প্রশ্ন করেছিলেন, সেসবের প্রতিটির অনুপুঙ্খ জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।