১১ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বাম জোটের বিক্ষোভ


আগামী ১১ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং ধাপে ধাপে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা বাতিলের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় এ কর্মসূচি শুরু হবে। একই দাবিতে ওই দিন সারা দেশেও বিক্ষোভ করবে বাম জোট। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, সারা দেশে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে। এর মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মানুষের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। এর ফলে অন্যান্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে আর ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়তে থাকলে মানুষের জীবন আরও সংকটাপন্ন হবে। দেশের প্রকৃত শিল্প উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের হতাশা ব্যক্ত করেছে। ক্ষুদ্র শিল্প সংকটে পড়েছে। ছোট ছোট দোকান ও বাড়ি ভাড়া বেড়ে গেছে। বিবৃতিতে আরও বলেছে, বরেন্দ্র অঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পানির সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ঠিক এ সময় বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রতি ঘণ্টায় পানির দাম ৩০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষি শিল্প সর্বত্রই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে; যা সাধারণ মানুষের পকেট থেকে নেওয়া হবে। মুদ্রাস্ফীতির কশাঘাতে জর্জরিত সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। তার ওপর এ ধরনের লাগাতার মূল্য বৃদ্ধি মানুষের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, একদিকে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে কিন্তু সরকারের যে প্রচলিত নীতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছে, সেই নীতির কারণেই আজ বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে আর্থিক সংকট চলছে বিদ্যুতের উৎপাদন কেন্দ্র থাকলেও সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের প্রণীত দায়মুক্তি আইন এক্ষেত্রে একদল ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও কমিশনভোগীদের অর্থ লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। এখন এর দায় সাধারণ জনগণের কাঁধে চাপানো হচ্ছে। এ দায় জনগণ নেবে না। বিবৃতিতে সরকারকে মূল্যবৃদ্ধির পথ থেকে সরে এসে লোডশেডিং মুক্ত, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানানো হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বিবৃতিতে ১১ মার্চের কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।