১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে, ইউপি মেম্বার গুলিবিদ্ধ


চলমান সংঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত পথে মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে ছাবের আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ইমন। জনপ্রতিনিধি ও বিজিবি জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আষাঢতলী-জামছড়ি সীমান্তপথে মিয়ানমারের ১৭৭ জন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবি অনুপ্রবেশকারীদের নিরস্ত্র করে জামছড়ি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার বলেন, সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৭ জন সদস্য জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা আষাঢ়তলী এলাকায় নুরুল আলম কোম্পানির লেবু বাগান হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রেখেছে বলে জেনেছি। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছাবের আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, মিয়ানমার সেনা, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও ইমিগ্রেশনের সদস্যরা অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্র করে জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের পরবর্তীতে জামছড়ি বিজিবি প্রাইমারি স্কুলে রাখা হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় বিষয়টি সতর্কভাবে দেখা হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের পুনরায় ফেরত পাঠানো হবে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে। এর আগে গতমাসে ফেব্রুয়ারি জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে গতমাসের ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত দেওয়া হয়।