১৮ বছর পর স্কটল্যান্ডের দ্বীপে মিলল রেসের হাঁস
অনলাইন নিউজ ডেক্স
১৩ বছর বয়সি ফিলিপ মিলার একদিন তার পোষা কুকুরকে নিয়ে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের স্টর্নস দ্বীপে হাঁটছিল। সেখানে সে একটি হাঁস কুড়িয়ে পায়। এটি ফিলিপ বাড়ি এনে তার মাকে দেখায়। তার মা ম্যারিওন হাঁসের গায়ে লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারেন এ হাঁসটির বয়স ১৮ বছর পেরিয়ে গেছে।
বিশ্ব রেকর্ড গড়তে ২০০৬ সালের জুনে ওয়ার্ল্ড ডাক রেস নামের একটি দাতব্য সংস্থা আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরের রিভার লিফি নদীতে রবারের তৈরি দেড় লাখ হলুদ রঙের হাঁস ছেড়েছিল; কিন্তু তাদের ওই রেকর্ডের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওই রবারের হাঁসগুলোর মধ্যেই একটি হাঁস ১৮ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেছে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের স্টর্নস দ্বীপের কাছে। যেটি খুঁজে পেয়েছে কিশোর ফিলিপ মিলার।
কিশোর ফিলিপের মা ম্যারিওন বলেন, সম্প্রতি জোয়ারের মাত্রা বেড়ে গেছে। আমার ছেলে কুকুরকে নিয়ে উপকূলে হাঁটছিল। ওই সময় সে কিছু জিনিস কুড়িয়ে পায়। সেখানে রাবারের ওই হাঁসটিও ছিল।
পরে ম্যারিওনের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, এত দিন সমুদ্রে থাকলেও ওই হাঁসটি খুব একটা নষ্ট হয়নি। এতে ওয়ার্ল্ড ডাক রেসে অংশ নেওয়ার তথ্যও লেখা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ডাক রেসের উদ্দেশ্য ছিল এক কিলোমিটার উজানে রাবারের খেলনা হাঁসগুলো ছেড়ে কয়েকটি সেতুর নিচ দিয়ে এগুলোকে নিয়ে যাওয়া। কোন হাঁসটি প্রথম হয়, তা তারা দেখতে চেয়েছিল; কিন্তু এর মধ্যে অনেকগুলো হাঁস সমুদ্রে ভেঙে যায়। এ প্রতিযোগিতায় ছাড়া প্রতিটি হাঁসের স্পনসর করা ছিল। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে হাঁসটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হবে, তার স্পনসর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সুযোগ পাবে।
২০০৯ সালে লন্ডনের টেমস নদীতে আড়াই লাখ প্লাস্টিকের খেলনা হাঁসের দৌড় বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।