৩২ বছরেও বদলায়নি দ. আফ্রিকার বিশ্বকাপ ভাগ্য
অনলাইন নিউজ ডেক্স
শিরোপা অধরাই থেকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। যে কারণে চোকার্স তকমাটাও থেকে যাচ্ছে। পরপর দুই বছর বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি প্রোটিয়া পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল।
গত বছর নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় প্রোটিয়াদের।
এবার ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ট্রফি জয়ের দুয়ারে গিয়েও হোচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে বিশ্বকাপে একাধিকবার সেমিফাইনালে বিদায় নিতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। অতীতে কখনও ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ফাইনালে উঠতে সক্ষম হয় এইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন দলটি। কিন্তু ফাইনালে ভারতের কাছে ৭ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে প্রোটিয়ারা।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্স
১৯৯২ সালে সিডনিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৯৯৬ সালে করাচিতে শেষ আটে উঠলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হয় প্রোটিয়াদের।
১৯৯৯ সালে বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকা- অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি টাই হয়।
এরপর ২০০৭ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা।
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে চোকার্স তকমা ধরে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার নকআউট পর্বে উঠেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু দুইবারই ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৯ সালে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে। ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে পরাজিত হয়। এবার সেমিফাইলালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে শিরোপা বঞ্চিত হয় প্রোটিয়ারা।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।