৪৮৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডলি কন্সট্রাকশনের এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা


রূপালী ব্যাংকের ৪৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডলি কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখা থেকে ঋণের নামে ৭৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ১০৬ টাকা উত্তোলন করেছিলেন। পরে সুদ-আসলে ৩০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করা হয়। আত্মসাৎ করা হয় ঋণের বাকি ৪৪৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৪ টাকা, যা বর্তমানে সুদ-আসলে হয়েছে ৪৮৯ কোটি ৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৫ টাকা। দুদক আইন অনুযায়ী সুদ-আসলে এই পরিমাণ টাকা আত্মসাতের শামিল। জালিয়াতি, প্রতারণা করে এই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪০৬/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অন্য সাত আসামি হলেন– ডলি কন্সট্রাকশনের এমডি নাসির উদ্দিনের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডলি আক্তার, রূপালী ব্যাংকের শিল্পঋণ শাখার সাবেক ডিজিএম খালেদ হোসেন মল্লিক, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক সোলায়মান, ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোলাম সারোয়ার, পল্টন করপোরেট শাখার ডিজিএম এএসএম মোরশেদ আলী, স্থানীয় কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও জিওগ্রাফ সার্ভে করপোরেশনের মালিক পারভেজ বিন কামাল। এজাহারে বলা হয়, ডলি কন্সট্রাকশনের এমডি নাসির উদ্দিন রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একটি চলতি হিসাব খুলে ব্যবসা শুরু করেন। এর পর ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে পাওয়া কার্যাদেশের শর্তানুয়ায়ী প্রথমে ১০৪ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৫৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দেয়। পরে ঋণ নবায়ন ও বর্ধন করা হয়। এই পদ্ধতিতে জালিয়াতি করে ঋণের নামে পর্যায়ক্রমে তোলা হয়েছিল ৭৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ১০৬ টাকা। এর মধ্য থেকে আত্মসাৎ করা হয় ৪৮৯ কোটি ৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৫ টাকা।