জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন চায় সংসদীয় কমিটি


২০১৩ সালে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা’ প্রণয়ন হলেও এখনো পর্যন্ত এটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে নীতিমালাটি বাস্তবায়ন চায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়াও তারা বয়স্ক ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মো. শিবলী সাদিক, নাসরিন জাহান, আ ক ম সরওয়ার জাহান, আরমা দত্ত ও শবনম জাহান বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এই নীতিমালা বাস্তবায়নে সমাজসেবা অধিদফতর কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ভাতাভোগীকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রবীণ হাসপাতাল করা হয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর ফরিদপুরে একটি শান্তি নিবাস পরিচালনা করছে। এতে প্রবীণ ব্যক্তিদের আবাসন, ভরণ-পোষণ, চিকিৎসা, চিত্ত-বিনোদন সেবা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ১ কোটি ৫৮ লাখ প্রবীণ রয়েছেন দেশে। ২০১৩ সালে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা হয়েছে, ২০১৪ সালে গেজেট হয়েছে, অথচ আজ পর্যন্ত এই নীতিমালার কোনো বাস্তবায়ন নেই। বয়স্ক ভাতা দেওয়া, কিছু প্রবীণ নিবাস করা, এগুলোর বাইরে তেমন কার্যক্রম নেই। এ জন্য সংসদীয় কমিটি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে।