‘চুরি করেই এদের চলতে হয়’


‘আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য চুরি’- এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চুরি ছাড়া এদের আর কোনো কিছু নেই। চুরি করেই এদের চলতে হয়। এদের পেশা এবং নেশা হচ্ছে চুরি। দেশটাকে চুরি করে ফোকলা করে দিয়েছে।’ সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভাবতাম আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচন আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চুরি করে। এখন সুপ্রিম কোর্টে ভোট চুরি করছে।’ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গত রাতে সর্বোচ্চ আদালতের বারের নির্বাচনে ফলস ব্যালট পেপার ছাপিয়ে সিল মারছিল, সেটা ধরে ফেলার কারণে প্রচণ্ড রকমের গোলযোগ হয়েছে। আমাদের যিনি সাতবার সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন তাকে তারা আক্রমণ করেছে। এ কোন দেশ আমাদের! এ কোথায় আমরা দেশকে নিয়ে এলাম! এই কারণেই আওয়ামী লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে যে, তারা এই দেশকে চরমভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন নতুন চুরির জায়গা তৈরি করেছে পাতাল রেল। ৩০০ ফিটের রাস্তা ভেঙে পাতাল রেল করবে। ঢাকা শহরে প্রতি বছর চুরির জন্য রাস্তা ভাঙা হয়, কাটা হয়, আবার করা হয়। যেসব নতুন বিল্ডিং তৈরি হয়েছে, কংক্রিট খুলে পড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও বাঁশের বাতা বা সরু রড দেওয়া আছে। এমন বিল্ডিং তৈরি করছে যেখানে ২২ জন মারা গেল, সরকারের টনক নড়ে না। কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন লড়াই করছি। এমন লড়াই লড়ছি যে লড়াইটা একটা ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে; যারা মানুষকে মর্যাদা দেয় না, ইতিহাসকে স্বীকৃতি দেয় না, দেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্র-সংবিধানে বিশ্বাস করে না; সাম্য, মানবতা বোধ, ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে না।’ ফখরুল বলেন, ‘এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এই দেশের মানুষ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে এবং জনগণের সরকার নিয়ে আসবে।’ অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় আলোচনা সভায় ফখরুল বইটি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই বই যে কালকেই নিষিদ্ধ করা হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বই প্রকাশ করার অপরাধে প্রকাশনীকে বাংলা একাডেমিতে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয় না।’ তরুণ প্রজন্মকে বইটি পড়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি এখন আর নলেজবেইজড নেই, এখন এটা হয়ে গেছে মানিবেইজড আর মাসলবেইজড। এই রাজনীতি দিয়ে সত্যিকার অর্থে কিছু আনা যাবে না, যেটা দেশে পরিবর্তন আনবে। নলেজবেইজড রাজনীতি একমাত্র দেশে পরিবর্তন আনতে পারে।’