প্রসেনজিতের ফিরিয়ে দেওয়া সিনেমা দিয়েই উত্থান সালমানের!
অনলাইন নিউজ ডেক্স
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কারণেই বলিউডের ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরে যায় বর্তমান সুপারস্টার সালমান খানের! বলিউডর ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির প্রস্তাব এসেছিল প্রসেনজিতের কাছেই। কিন্তু সে ছবি করেননি তিনি। পরে সেটা করেন সালমান খান।
টানা ত্রিশ বছর পর এই প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, তিনিই প্রথম পছন্দ ছিলেন এই সিনেমার জন্য। ক্যারিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকে, তখন নায়ক হিসাবে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করা শুরু করে দিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সদ্য ডেভিড ধাওয়ানের সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। তখনই ডাক আসে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র জন্য। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে প্রথমে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। পরে বলেন, “ছাড়ুন না এসব কথা। জুবিলি সম্পর্কে কথা বলা যাক।” কিছুক্ষণ বিরতির পরে, অভিনেতা বলেন, “দেখুন, সত্যি কথা বলতে, আমি আপনাকে বলেছিলাম। আমার শেষ হিন্দি সিনেমা ‘সাংহাই’। গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে, আমি মূলধারার হিন্দি সিনেমা করছি না। সমস্ত নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করছি।”
তবে কিছুদিন আগেই ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’কে ফিরিয়ে দেওয়ার পেছনের আসল কারণ প্রকাশ্যে এনেছেন প্রসেনজিৎ। অভিনেতা রেডিফ ডটকমকে জানান যে, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র জন্য তাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে পরিচালক সুরজ বারজাতিয়ার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত আমি বরজাতিয়া এবং ভাগ্যশ্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।” প্রসেনজিতকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে, এরকম একটা বড় হিট সিনেমা যা সালমানকে বলিউডের অন্যতম মেইনস্ট্রিম হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল, সেই ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’কে না বলার কারণ কী?
প্রজেনজিৎ তখন বলেন, বিজয়িতা পণ্ডিতের সঙ্গে আমার বাংলা সিনেমা ‘অমর সঙ্গী’ বড় হিট হয়েছিল। আমার সব ডেটস ব্লক হয়ে গিয়েছিল। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ করতে পারলে ভাল লাগত, কিন্তু ইচ্ছা সত্ত্বেও সেই অফার প্রত্যাখ্যান করতে হয়েছিল। পাহলাজ নিহালনীর সঙ্গে বাংলা সিনেমা করছিলাম, তখন তিনি বড় প্রযোজক। পাহলাজজী একদিন আমার কাছে এসে বললেন, “পুত্তর, আমার একটা হিন্দি সিনেমার সাবজেক্ট আছে, তুমি কর। তুমি বোম্বের হিরো।” সেই ‘আঁধিয়ান’ ভাল সাবজেক্ট ছিল, যদিও পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান তখন খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না। মাধুরীর মতো তখন মুমতাজজী এভারগ্রিন নায়িকা। আমরা মা-ছেলের চরিত্রে ছিলাম। দর্শকের কাছে যদিও সেটা খুব একটা ভালো লাগেনি।”
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।