‘দোকানে ১০ লাখ টাকার মাল ছিল, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’
অনলাইন নিউজ ডেক্স
\'৫০ জন দোকানদার মিলে নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলার সিড়ির সাথে একটা গোডাউন নিছিলাম। গোডাউনে একেক দোকানের কমপক্ষে তিন লাখ টাকার মাল ছিল। সব পুড়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারি নাই।\'
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন দোকান মালিক মো. রাব্বি। শনিবার ভোরে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে রাব্বির মতো কয়েকশ\' ব্যবসায়ীর এখন মাথায় হাত।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মার্কেটের তিন তলা সংলগ্ন মো. নাহিদ ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে আহাজারি করতে দেখা যায়। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, \'আর কী কমু, ভাই। কওনের তো আর কিছুই নাই। কথা বইলা কী হবে?\'
নাহিদ বলেন, \'মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আমার দুইটা দোকান আছে। দোকানে অন্তত ১০ লাখ টাকার মাল ছিল। এছাড়া নগদ দুই লাখ টাকা ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।\'
মার্কেটের ফ্রেন্ডস কালেকশনের মালিক জাকারিয়া আহমেদ বলেন, \'আমার দোকানে ১৫ লাখ টাকার মাল এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকা ছিল। শুক্রবার অনেক বেচাকেনা হয়েছিল। আজকে আরো মাল তোলার ইচ্ছা ছিল। এখন আর কিছুই থাকলো না। কিছুই বের করতে পারিনি। দোকানে মাল তোলার জন্য সাত থেকে আট লাখ টাকা ধার করা ছিল।\'
শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য জানতে পারে ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণ পরে ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরও ১২টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপনী কাজে যোগ দেয়। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট।
এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অগ্নিনির্বাপনী সাহায্যকারী দল। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রয়েছে। আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।