পদ্মা নদীকে দুষণ ও দখলমুক্ত করার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
পদ্মা নদীকে দুষণ ও দখলমুক্ত করার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন সাপাহারে তাপদাহে বিপাকে পড়েছে আম চাষীরা চরাঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীক বিজয়ের বিকল্প নেই।
রাজশাহীতে পদ্মা নদীকে দুষণ ও দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৩ মে শনিবার নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে সকাল ১০ থেকে ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘পদ্মা নদী বাঁচলে, রাজশাহী বাঁচবে/ যদি নদী হয় শেষ, তবে মরুভূমি হবে বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহীর পদ্মা নদী রক্ষায় জোর দাবি জানানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মা নদীতে ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহকে বাঘাগ্রস্থ করা হয়েছে।নদী দখল করে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনাও গড়ে উঠেছে।এ কারনে পদ্মা নদী তার নিজস্ব অস্তিত্ব হারিয়েছে।
বক্তারা বলেন, পদ্মা নদীর অস্তিত্ব সংকটের কারনে এখন মরে গেছে এ অঞ্চলের অসংখ্য খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়।এসব খাল-বিল দখল করে প্রভাবশালীরা রাতারাতি স্থাপনা তৈরি করে ক্রমের নদী ও খালবিলের অস্তিত্ব ধ্বংস করছে। অবিলম্বে নদী রক্ষাসহ এ অঞ্চলের খাল-বিল জলাশয় রক্ষা করতে হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।একই সঙ্গে ভ-ূউপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে অবিলম্বে প্রস্তাবিত উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী মহানগরীসহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী স্থাপনা, জনসাধারণের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও জানমাল সুরক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই বাঁধের উভয় পাশে জবরদখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, শুধু রাজশাহীর পদ্মা নয়, প্রভাবশালীদের লোভের থাবায় এখন নিষ্পেষিত উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল বিল।পদ্মাসহ এসব খাল-বিল সংস্কার করে অবিলম্বে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে পদ্মা নদী ক্যাপিটাল ডেজিং করে নৌবন্দর চালুর দাবি জানান জামাত খান।কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার কেন্দ্রিয় সদস্য আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, প্রকৌশলী খাজা তারেক, এনজিও কর্মি সোহাগ আলী, নারী নেত্রী সেলিনা খাতুন, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম নবী রণি, সোনিয়া খাতুন, রুমানা সিদ্দিকা, যুুব নেতা কেএম জোবায়েদ হোসেন, জাহিদ হাসান, ফরাদ আলী রিংকু, অপর্ণা সেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।